২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ওয়েব ব্রাউজার নিরাপদ রাখতে কী করবেন

ওয়েব ব্রাউজার নিরাপদ রাখতে কী করবেন -

অনলাইন দুনিয়ায় কোনো তথ্য জানতে গুগল করা থেকে শুরু করে ছবি খোঁজা কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে প্রয়োজন হয় ওয়েব ব্রাউজারের। এটি একটি সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন, যা ব্যবহারকারীদের ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ) অ্যাকসেস ও নেভিগেট করতে সক্ষম করে। যেমন- গুগল ক্রোম, ফায়ারফক্স ও মাইক্রোসফট এজ। ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার সময় অনলাইনে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা আরো সুরক্ষিত রাখতে কিছু সেটিংস ও অপশন রয়েছে।
আপনার ব্রাউজিংকে গোপনীয় করার একটি সহজ উপায় হলো ‘ইনকগনিটো মোড’ ব্যবহার করা। এ মোড ব্রাউজিং ইতিহাস, কুকিজ ও সাইটের তথ্য ডিভাইসে সেভ হতে দেয় না। তবে মনে রাখা ভালো, এটি ওয়েবসাইট বা ইন্টারনেট সেবাদাতাকে (আইএসপি) ব্যবহারকারীর কার্যকলাপ ট্র্যাক করার অনুমতি দেয়। বেশির ভাগ ব্রাউজারে একটি ফিচার থাকে, যা কোনো ঝুঁকিপূর্ণ ওয়েবসাইটে ঢোকার আগে সতর্ক করে দেয়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন থেকে গুগলকে সরিয়ে কোনো প্রাইভেসি ফোকাসড ব্রাউজার সেট করে দেয়া ভালো। যেমন- ডাকডাকগো, স্টার্টপেজ।
ব্রাউজারের ‘ইনহ্যান্সড স্পেল চেকার’ অপশনটি বন্ধ করুন আজই। ব্যবহারকারী যা টাইপ করছে, এ ফিচার তা গুগলের সার্ভারে পাঠায়। এর মধ্যে ফর্ম পূরণসংক্রান্ত তথ্য ও পাসওয়ার্ডও অন্তর্ভুক্ত থাকে। এছাড়া নিয়মিত সাইট থেকে চাওয়া অনুমতিগুলো পর্যালোচনা করা জরুরি। অপ্রয়োজনীয় মনে হলে লোকেশন, ক্যামেরা, মাইক্রোফোন বা নোটিফিকেশনগুলোর অ্যাকসেস অগ্রাহ্য করতে হবে।
ব্রাউজার ব্যবহার শেষ করার পর ডাটা মুছে ফেলার চেষ্টা করা উচিত। কিছু সাইটে আবার লগইন করতে হলে সমস্যা নেই, যদি এর মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি থেকে নিরাপদ থাকা যাবে।
গোপনীয়তা বাড়ানোর জন্য কিছু এক্সটেনশনও ইনস্টল করা যায়, যা নীরবে কাজ করে ট্র্যাকার, বিজ্ঞাপন ও অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় বিষয় ব্লক করে। তবে অনেক মনে করেন, এসব এক্সটেনশন ব্রাউজারকে ধীর করে দেয়। কিন্তু প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, এ ধারণা সঠিক নয়। যেহেতু এগুলো অনেক অপ্রয়োজনীয় জিনিস (যেমন- বিজ্ঞাপন ও ট্র্যাকিং স্ক্রিপ্ট) লোড হতে দেয় না, ফলে পেজগুলো প্রায়ই দ্রুত লোড হয়।
মেকইউজঅব বলছে, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারগুলো ব্যবহারকারীর ডাটা সংগ্রহ ও বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে বিক্রি করতে পরিচিত। এছাড়া পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে, যেমন- কফি শপ বা বিমানবন্দরে যখন কেউ ওয়াইফাই সংযুক্ত করেন, তখন তথ্য হ্যাক হওয়ার ঝুঁঁকি আরো বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) এসব পাবলিক নেটওয়ার্কগুলোয় সংযোগ সুরক্ষিত করে।


আরো সংবাদ



premium cement